বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। বুধবার বেলা একটার দিকে র্যাবের কড়া পাহারায় তাকে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে নেওয়া হয়।
এর আগে গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে তার ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
আগে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা তিনজনকে শনাক্ত করেছি। তারা আমাদের নজরদারিতে ছিল। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্তকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্ত ও যাচাই-বাছাইয়ের স্বার্থে এখনই ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি র্যাব। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তার বিষয়ে জানানো হবে।
গত রবিবার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় সড়কের পাশে ফুটপাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহার গতকাল ঢাকার আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজধানীর শেওড়া এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে গত রবিবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে রওনা দেন ওই শিক্ষার্থী। রাত সাতটার দিকে বাসটি কুর্মিটোলায় থামে।
বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে শেওড়ার দিকে হাঁটা শুরু করেন। গলফ ক্লাব মাঠসংলগ্ন স্থানে গেলে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা আসামি তার গলা চেপে ধরেন। এতে ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি মারধরও করা হয় তাকে।
পরে সিআইডির ক্রাইম সিন বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। ওই ছাত্রীর চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।